হোম
পৃষ্ঠা
শুভ নববর্ষ ১৪৩০
সকলকে জানাই ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন এর পক্ষ থেকে বাংলা নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা।বছর জুড়ে আপনারা নানা ভাবে আমাদের সাথে ছিলেন আপনাদের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা এই ভাবে সামনের দিন গুলো তে আমাদের সাথে থাকবেন। আমাদের সাপ্তাহিক পত্রিকা নিয়ে আপনাদের কোন ভাবনা থাকলে অবশ্যই জানাবেন। সকলের মঙ্গল ও সুস্থতা কামনা করছি।
শুভ নববর্ষ ১৪৩০
তবু লিখি
শাশ্বত বোস
তবু লিখি, অনৃজু, নক্ত সমাজের ক্ষয়িত শিরদাঁড়ায় ভর করে।
বাসন্তী পিতাম্বর গায়ে মেখে, প্রেমের দুর্বল অশ্রুপাতে প্রবোধী প্রেমিকের মতো।
কঞ্জমসৃত মধু গন্ধ ছড়িয়ে, আমার ঠোঁটে সে এঁকেছিল, বনেদি সংলাপের আভেরি চুম্বন।
আমার লেখায় খুঁজি তাকে, পরাকৃত উষ্ণতায়, বসন্তের অশ্মানী বহ্নিপলাশের মতো।
কার ঘর আলো করে এসেছিল সে, তা জানা নেই।
কার ঘরেই বা জ্বলেছিল, অন্তিম প্রহরের অক্রূর প্রদীপখানি।
শুধু তার শুকতারা ভরা মুখে, দশমিক তিলের ভগ্নাংশে ডুব দিয়েছিলুম,
চৈত্রের শেষ অবীরা আণবিক ঝড়ের মতো।
মনে প্রাণে বুঝেছিলাম, আমি আসলে, সাহারার উদ্বাস্তু যাযাবরের মতো, কল্পনাপ্রবণ।
তবু লিখি, কারণ এই লিখতে পারাটাই আমার, একমাত্র অবলম্বন।
জানি, কোন অমূলদ সংখ্যাই পারে না, উন্নিদ্র রাতে, ফালির মতো চাঁদের বুক থেকে খসে পড়া আঁচলটা, পুরো টেনে সরাতে।
গতিহীন তমসা, আমায় জাপটে ধরে, ডুবতে চাওয়া মরালির মতো।
তবু চতুর্র্বগ এ জীবনে প্রেম আসে, নতুন করে।
হয়তো এই অভিতপ্ত বসন্তেই তার বাসর সাজায়,
চৈতী চাঁদের বিরংসা সাঙ্গ হয়, জীর্ণ হন্বস্থির মাঝে দ্রাক্ষায়িত রুধির সংগমে।
কপর্দ বিনে কিনতে চাওয়া জগৎটা, হঠাৎ এসে ধরা দেয় মুঠোর ভেতর।
সীমন্তপথে যোনিরক্ত মেখে, সে সরে যায় অশরীরি অপলাপে কিংবা অপহাসে।
প্রেম সে তো অদেয় ছিলই, এই বসন্তে হয়তো হিমশৈলও অধরা হল।