ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন এর প্রথম সংখ্যা পুনর্যোজন
গদ্য কবিতা শিক্ষক দিবস
কলমে বানীব্রত
তুমি আমার পরম প্রিয় তুমি আমার গুরু
তুমি আমার ঞ্জানের আলো তোমাতেই আমার শুরু,
লেখা পড়া খেলাধুলা সব কিছুতেই তুমি
তোমার আশিষে দেখেছি আমি এই জন্মভুমি।
মা, তুমিই হলে আমার প্রথম শিক্ষা গুরু
জীবনের চলার পথ তোমার থেকেই শুরু,
ইস্কুলেতে গিয়ে আমি পেয়েছি শিক্ষক
তখন থেকে তারা দেখালেন জীবনের গতিপথ।
শিক্ষকরা দিয়েছেন শিক্ষা, রেখেছেন আশিষের হাত
তাদের জন্য আলাদা কোন দিবসের নেই কো দরকার।।
চওড়া সিঁথি তাঁর
©অঞ্জলি দে নন্দী, মম
নন্দী ঠাম্মার গ্রামে বাড়ি।
পরনে লাল পার শাড়ি।
পতিব্রতা নারী।
খুব সুনাম তাঁরই।
জীবনে কোনোদিন
তোলেন নি সিঁথির সিঁদুর।
শ্যাম্পু করেন সাবধানে অতি।
কলির সতী।
নাম শ্রীমতি লীলাবতী।
উঁচু হয়ে চেপে ধরে আছে মাথাতে
চওড়া সিঁথির সিঁদুর।
দাদু মারা গেল একদিন
চিতা উঠলো দাউ দাউ দাউ করে জ্বলে।
তারপরে নিজ হাতে
সিঁদুর তোলেন - ঘষে ঘষে ঘষে...
শ্মশান ঘাটে বসে;
ভাসেন আঁখিজলে।
সিক্ত কণ্ঠে বলেন, কাঁপা কাঁপা স্বরে,
"জ্যোতিষী ঠাকুর বলেছিলেন,
স্বর্গে যাবো মরে।
এওস্ত্রী পুরবো আমি,
সিঁথির সিঁদুর নিয়ে, সধবা - সুখে।
আমার মৃতা মুখে
আগুন দেবে আমার জীবিত স্বামী।
সবটাই মিছে।
ও তো গেল চলে।
পড়ে রইনু আমি পিছে।"
কবিতা
"পিঠে"
অঞ্জলি দে নন্দী, মম
ঐরাবৎ হাতীর পিঠে
বসে নন্দী ষাঁড়ের নাতী।
যাচ্ছে খেতে সে
হরেক রকম পিঠে।
নামলো এসে
নানীর ঘরের শেষে।
নানা ভালোবেসে
ওর পিঠে
হাত চাপড়ায়, আদোরে।
আর বলে,
যুগ যুগ যুগ তুম জিও!
তাই না দেখে নৃত্য করে
নানার যত পোষা বাঁদরে।
নানী বানায়
নাতীর প্রিয়
তালের মিঠে পিঠে
নিজ করে। ( হাতে )
আহা, সুখে ভরা ভাদোরে,
নানা, নানীর নাতী আদোর করা,
এতেই তো ধরা গড়া।
নানীর হৃদয় মহাসাগরসম।
নাতীর তরে স্নেহ তার ভরা
কানায় কানায় কানায়।
নাতী থাকে নানার হার্ট বিটে।
ওদের সবার প্রিয় নাতীর মমও।
Subscribe to:
Posts (Atom)