Trilochan Shahito Vubon - ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন: October 2020 v

*পরিযায়ী কঙ্কাল* 

    *আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়*


অন্ধকারকে তাড়া করে 

শেষ রাতের গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসে শীর্ণকায় পঞ্চাশোর্ধ একটা মানুষ, মানুষ না  

মানুষের কঙ্কাল?

গ্রাম্য স্টেশনের ঘোলাটে আলোয়

রহস্যময় অন্ধকার নেমে আসে । 

-কে এই লোকটি? 

নিদারুণ নগণ্য এক

পরিযায়ী শ্রমিক |

জীবন ও জীবিকার সন্ধানে

পাড়ি দিয়েছিল ভিন রাজ্যে ।

করোনা তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে ,

লকডাউন তার ঘোলাটে ম্লান চোখে 

গাঢ় অন্ধকারের কাজল পরিয়ে দিয়েছে |

এখনো তাকে বারো মাইল হেঁটে 

বাড়ি পৌঁছাতে হবে | 

নিরন্ন উদরে ফুঁসে উঠছে ফুজিয়ামা,

অনশন-ক্লিষ্ট চোখে 

ঠাঁই নিয়েছে ভিসুভিয়াস |

অখ্যাত স্টেশনের ছোট্ট ওয়েটিং রুমে 

এলিয়ে পড়ে মানুষের মতো

দেখতে এক কঙ্কালসার অবয়ব |

ঘুমের মধ্যেই শুরু হয় 

তার পথ চলা, 

সে চলছে... 

      শুধু চলছে... 

              আরো চলছে...

চলতে চলতেই দেখতে পায়,

অনাগত ভবিষ্যতের ছবি 

পড়ে আছে নিথর, নিষ্প্রাণ ছিন্নভিন্ন 

এক কঙ্কালের শব,

তাকে ঘিরে মানুষের কত ব্যস্ততা,

কত ভীড়, কত ফটো---

জমে ওঠে নেতারূপী শকুনের

পৈশাচিক মহোৎসব ||

 *লকডাউনে সুরানিদ্রা*

   *আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়*


সন্ধ্যা-রাত্রে সেবা বাবু

নেশার ঘোরে হলেন কাবু,

স্বপ্ন দেখেন হাসপাতালে

প্রবল জ্বরে সাতসকালে,

বাঙ্গুর না বেলেঘাটা ?

এ জ্বর নয়কো সাদামাটা,

ডাক্তার কই ? ওষূধ কই ?

উড়ছে শুধু কটা চড়ুই ,

রোগীরা সব নিখোঁজ নাকি 

কাশছে বসে মধু গড়ুই।

প্রানটা বুঝি যায় বেঘোরে,

মনে জাগে হঠাৎ সন্দ -

নাকে পান হঠাৎ তিনি 

 মড়া পোড়ার গন্ধ।


চমক ভাঙে ঘুমের ঘোরের

   শুনে গিন্নির কন্ঠ,

"দুপুর দেড়টা, শুয়ে ছিলে

     কাল গিলে আকন্ঠ।"

---অ্যালকোহলে হাত ধুতে তো 

     বিজ্ঞাপণেই বলে, 

অমূল্য মদে হাত ধোবে 

(তাই) সুরা গলায় ঢালে।


 ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের প্রথম শরৎ সংখ্যা পুনর্যোজন সকলকে পড়ার অনুরোধ জানাই

প্রথম সংখ্যার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল গুলোর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।।

https://drive.google.com/file/d/1RAZbEnmw6Mfsajf3wesNWosQQO0T2q9n/view?usp=drivesdk