Trilochan Shahito Vubon - ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন: কবিতা v
Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে লেখা কবিতা

 অহংকার 

-স্নিগ্ধা দৃষ্টি


মুজিব তুমি নদীর মত বহমান, 

মুজিব তোমার কোটি কোটি সালাম। 


তোমার কন্ঠে বিদ্রোহ আর জনতা,

তোমার ভাষণে হাজার মানুষের জন্ম, 

তোমার কন্ঠ শুনে মানুষের সাহসের জন্ম।


ধন্য মোরা আজও, 

তোমার মত পিতা পেয়ে , 

জন্ম হয়েছে স্বাধীনতা।


 মুজিব তুমি তারার মত জ্বলছ আজও,

 ধন্য করেছ, মুজিব তুমি আমাদের এ অহংকার। 

 মুজিব তুমি মুক্তি করেছ লাঞ্চিত জনতার। 

  মুজিব তুমি জাতির পিতা আমাদের  

  অহংকার।।



কবিতা

 একবিংশ শতাব্দীতে

- মৌ সাহা




একবিংশ শতাব্দীতে:

বাঁচবার কিছু নির্দিষ্ট স্বপ্ন থাকা প্রয়োজন। 

কিছু কাছের মানুষ প্রয়োজন, 

কিছু সুন্দর ফুল প্রয়োজন, 

কিছু সুন্দর মেঘ দেখানো আকাশ প্রয়োজন-

কিছু সবুজ ঘাসে পদক্ষেপ প্রয়োজন! 

কিছু নদী প্রয়োজন, একটা দুটো নৌকো প্রয়োজন-

প্রয়োজন কিছু বাতাস, কিছু গান, কিছু হাসি- কিছু চাহনি!-

আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন 'স্থায়ীত্ব'!

তুমি সারাজীবন এক শহরে এক ঘর মানুষের সাথে আছো-

কাউকে বদল দেখোনি, কারোর অবহেলা দেখোনি!

তবে বলবো-' তুমি সৌভাগ্যবান!'

সে সৌভাগ্য আমার হয় নি!

আমি ক্রমশ কাছের মানুষদের নীল জোছনায় নির্মোক খুলে-

অগ্রহায়ণের ধান ক্ষেতে ইঁদুরের গর্তে পালাক্রমে উবে যেতে দেখেছি।


সৌভাগ্যবান,

তুমি কীভাবে বুঝবে?- মন কীভাবে মৌসুম বদলায়!

হাওয়া কীভাবে পালে দোল দেয়-

কীভাবেই নতুন নতুনে অভিযোজিত হতে হয়!

পাপী সেই মানুষগুলোই- 

যারা কারোর মাটি কেড়ে নেয়-

আর সবচেয়ে পাপী?-

সেসব অস্থায়ী অস্তিত্বরা!




কবিতা

 

       কলমাস্ত্র
   অর্পিতা মুখার্জী

শাসক যখন শোষক হয়
   আনন্দে মাতে যুদ্ধে,
কলম লেখে প্রতিবাদী ভাষা
   অন‍্যায়ের বিরুদ্ধে।
কার হাতে কিসের প্রতিকার?   
   কে দেবে কাকে দন্ড?
যুগে যুগে শুধু  সান্ত্বনা দেয়
   আইনের বিকৃত মানদন্ড।
সহায় সম্বল হারিয়ে যারা
   ধুঁকছে বাঁচার আশায়,
যন্ত্রণাটা বোঝে যদি কেউ...
   তাদের চোখের জলের ভাষায়।
জীবন থাকলে যাপন হবেই
   সাক্ষী পাষাণ হৃদয়,
চোখের জলেও আগুন ফিরুক
   কলমাস্ত্রের ভাষায়।


কবিতা


জীবনের নৌকো

-সুচেতা অধিকারী 


জীবনের এই নৌকো,

নদীতে বয়ে যায়;

অবিশ্বাস,অমর্যাদা ও অবহেলিত এসব শব্দগুলো নিয়ে।

যা কিনা একটা সম্পর্কে থাকলে পরে,

সেই সম্পর্ক এক বছর কেনো একদিনও টেকেনা।

তাই জীবনের নৌকো তে স্থান একমাত্র,

বিশ্বাস,মর্যাদা,স্বাধীনতা এর মতো;

পসিটিভ শব্দগুলোর হওয়া উচিৎ।

 

 অন্তে আছি


আমি এখন অনেক দূরে, অনেক ভীড়ে,

সহজে দৃশ্যমান নয়।

কালকে আবার আর একটা মিছিলে,

তাই তো আমার এমন আড়াল,

এমন সংগোপন।

তুমি বলবে-সুবিধাবাদী, হয়তো

তবে সুবিধাভোগী নয়তো।

হ্যা, সুবিধা পাওয়ার জন্যে আসা, এইতো?

কে নেয়নি বলো তো ভাই?

যাদের আছে কোটি কোটি,

উপর তলায় হাঁটা হাঁটি,

কতকটা কর দিতে ফাঁকি,

কিংবা কিছু হাতিয়ে নেয়ার তাল,

আমার বেলায় সব গোলমাল?

তাদের স্্খ্যা সামান্য জন,

কি্্ মেকার, ঘটান অনেক অনেক ঘটন,

সেই সুবাদে ঐ ওনারা ওদের আত্মজন।

এ সবেতে কোন দোষ নেই,

দোষটা শুধুই আমার বেলায়,

কারণ আমি অন্তে থাকি

কেবল অনর্থ:জন?


নিবেদনে-দিব্যেন্দু বিকাশ জানা

 নতুন বছর

শুভ জিত দত্ত


বৈশাখ এলেই বাঙালি যেন

উচ্ছাসে মেতে ওঠে

বাহারি কত সাজে তাই

নিজেকে মেলে ধরে


প্রকৃত আবার উজাড় করে

ঢেলে দিয়ে রুপের ঢালা

নানা রঙের শোভা মেলে

বার বার চেয়ে থাকা


উৎসব যেন সর্বজনীন 

নেই তো ধনী গরিব

মেতে ওঠে তাল মিলিয়ে

বৈশাখের চেনা সাজে


দুঃখ কষ্ট যাক না চুলোয়

বছরের এই দিনটাতে

সবে মিলে গাইবো আজ

নতুন সুরে গলা মিলিয়ে।।

কবিতা

"পিঠে"

অঞ্জলি দে নন্দী, মম


ঐরাবৎ হাতীর পিঠে

বসে নন্দী ষাঁড়ের নাতী।

যাচ্ছে খেতে সে

হরেক রকম পিঠে।

নামলো এসে

নানীর ঘরের শেষে।

নানা ভালোবেসে

ওর পিঠে

হাত চাপড়ায়, আদোরে।

আর বলে,

যুগ যুগ যুগ তুম জিও!

তাই না দেখে নৃত্য করে

নানার যত পোষা বাঁদরে।

নানী বানায়

নাতীর প্রিয়

তালের মিঠে পিঠে

নিজ করে। ( হাতে )

আহা, সুখে ভরা ভাদোরে,

নানা, নানীর নাতী আদোর করা,

এতেই তো ধরা গড়া।

নানীর হৃদয় মহাসাগরসম।

নাতীর তরে স্নেহ তার ভরা 

কানায় কানায় কানায়।

নাতী থাকে নানার হার্ট বিটে।

ওদের সবার প্রিয় নাতীর মমও।