Trilochan Shahito Vubon - ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন: কবিতা গুলো v
Showing posts with label কবিতা গুলো. Show all posts
Showing posts with label কবিতা গুলো. Show all posts

ফজিলা খাতুন এর দুটি লেখা



বসন্ত এলো

     ফজিলা খাতুন।

বছর ঘুরে এলো আবার বসন্ত দ্বারে

সবুজ শ্যামল গাছের ডালে ফুলের সমাহারে।

চোখ জুড়ানো রূপের বাহার শিমুলের গায়ে

মন মাতানো সুগন্ধ পাই আমের মুকুলে।

কৃষ্ণচুড়ার ফাঁকে বসে গাইছে পাখি গান

নাম না জানা হরেকরকম ফুলের সুবাস।

নতুন পাতা মন কেড়েছে গাছের শাখায়

কোকিল ডাকে কুহু কুহু মনের উন্মাদনায়।





আমার রংপুর

    ফজিলা খাতুন।

বাংলাদেশে পরিচিত নাম শোনা যায়

রূপের রানী তারই পাশে তিস্তা নদী বয়।

ঐতিহ্য অপরূপে আছে ভরপুর

সুখে দুঃখে সবাই হাসে সেটাই রংপুর।

সরল মনের মানুষ তারা গান গায় ভাওয়াইয়া

যমুনেশ্বরী,ঘাগড়া ,আছে করতোয়া

আরো আছে মহীয়সী বেগম রোকেয়া।

গানের সুরে মিশে আছে নাড়ির টান

এখনো বাজে পুরোনো মইশাল বন্ধুর গান।

রংপুরের কৃতি সন্তান জনগণের প্রাণ

হাসিভরা মুখটা তোমার হোসাইন এরশাদ।

পথের ধারে সারি সারি তামাক ভরা ক্ষেত

রংপুর তুমি ঐতিহ্যবাহী রূপের নাইকো শেষ।

 বন্যা সর্বনাশী

---- সৈয়দুল ইসলাম

সুনামগঞ্জ আর সিলেট জেলায়
বন্যা দেখা দিলো,
ধনী গরিব সবার মুখের
হাসি কেড়ে নিলো।

রাস্তাঘাট আর বসতভিটার
পানির নিচে ঠাঁই,
দুর্বিপাকে লাখো মানুষ
যাওয়ার জায়গা নাই।

খাবার কিছু নেই ঘরেতে
দুর্বিসহ ক্ষণ,
অবুঝ শিশুর জন্য কাঁদে
মা জননীর মন।

উজান ঢলের প্রবল স্রোতে
নদী পাড়ের বাড়ি,
বিলীন হচ্ছে নদী গর্ভে
হায়রে আহাজারি!

সোনার ধানে ভরবে গোলা
ছিলো মুখে হাসি,
মুখের খাবার কেড়ে নিলো
বন্যা সর্বনাশী।

 

আঁধার রাত

অরবিন্দ মাজী


ইদানীং দিনগুলোকেও রাত মনে হয়, 

ঘুটঘুটে আঁধার রাত,

এখন দিন খুঁজতে খুঁজতে হন্যে হতে হয় 

প্রতিটিদিনের প্রতটি মুহূর্ত। 

দিন খোঁজা আর শেষ হয় না। 


চারিদিকে শুধুই ঘন কালো আঁধার রাত। 

বোধহয় ইদানীং সূর্যটা আর উঠতে চায় না, 

ফুল ফোটাতেও চায় না, 

ফুলের সুবাস নিতে দেবেনা বলেই


কতদিন সূর্য উঠা ভোর দেখা হয়নি, 

কতদিন ফুলফোটা দেখা হয়নি, 

কতোদিন ঝকঝকে সকলের সোনলি 

আলো দেখা হয়নি। 

এখন রাত, রাত, রাত, শুধুই আঁধার রাত


 স্বাধীনতা তুমি

  সৈয়দুল ইসলাম


স্বাধীনতা তুমি মায়ের কোলে
সাহসী খোকার আসন,
স্বাধীনতা তুমি সাতই মার্চের
অগ্নি ঝরা ভাষণ।

স্বাধীনতা তুমি মুজিবের কণ্ঠ
নবচেতনার জয়,
স্বাধীনতা তুমি মায়ের হাসি
ভোরের সূর্যোদয়।

স্বাধীনতা তুমি মুক্ত ভূমিতে
উড়ন্ত বিজয় নিশান,
স্বাধীনতা তুমি ভোর বিহানের
পাখির কলতান। 

স্বাধীনতা তুমি স্বপ্নে দেখা 
একটি সোনালী দিন,
স্বাধীনতা তুমি গৌরবের ধন
ভাবনায় সীমাহীন।

স্বাধীনতা তুমি কবির কলমে
বিদ্রোহী কবিতা গান,
স্বাধীনতা তুমি লাখো শহীদের
রক্তের অবদান।

কবিতা

রেজাল্ট

  -দীপান্বিতা দত্ত

বুক দুরু, দুরু কাঁদো ,কাঁদো মুখ

এই বুঝি এলো রেজাল্ট

কি হয় ! কি হয়! মনে বড় ভয়

জানবে যে ফল সবাই

একে একে বন্ধুদের সবার রেজাল্ট এলো

কেউ করেছে ফেল ,আবার কেউ করেছে ভালো

ফেল করেছে যে,সেই তো বোঝে

ফিল করার কত কষ্ট

একটি বছর জীবনটাকে

করেছে দেবে নষ্ট।

প্রতিবেশীরা সবাই এসে

সমালোচনা করে

বলে,পড়তে না বসে সারা বছর

টিভি দেখ গিয়ে ঘরে।

মনের ব্যথা কেউ বুঝবে না

সবাই দেবে গালি

একটা বছর জীবনটা আমার

হল যে ফালি ফালি।

 বন্ধুদের ছাড়া কি করে আমি

নিব যে নিশ্বাস

এসব কথা ভেবে আমার করতেই হবে পাস।।
 

কবিতা

কলেজ

-দীপান্বিতা দত্ত

কলেজ মানে মিষ্টি স্মৃতি

নতুন সব নিয়ম নীতি

নতুন স্যার নতুন বন্ধু

নতুনভাবে পরিচিতি।

কলেজ মানে অলস হয়ে

ক্লাস কামাই করার ভান

কলেজ মানে বন্ধুদের সাথে

গল্প করার প্লান।

কলেজ মানে কিছু স্যারের

মিষ্টি মধুর গল্প

কলেজ মানেই সবার সাথে

আড্ডা অল্পস্বল্প।

কলেজ মানেই দুইটি বছর

হেঁটে যাওয়া আসা

কলেজ মানে বড় হওয়ার

বুক ভরা আশা।

কলেজ মানে ফাইন দেয়া

পড়া ধরার ভয়

কলেজ মানে পরীক্ষার হলে

হামাগুড়ি নয় ছয়।

কলেজ মানে কৈশোরকালে

সবুজ নিস্তেজ স্বপ্ন

কলেজ মানেই ঢোকার পর

নানা বিদ্যায় মগ্ন।

কলেজ মানে স্বল্প কথায়

অল্প অভিমান

কলেজ মানে সময় পেলে

একটু-আধটু গান।

আমার কাছে এই কলেজ

সবার থেকে সেরা

মীর মশাররফ ডিগ্রি কলেজ

ভালোবাসা দিয়ে ঘেরা।।