Trilochan Shahito Vubon - ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন v
পার্থক্য 
পারভীন শীলা 

আকাশে উড়ছে মেঘ 
ধরতে চাইছো তুমি,
আকাশের নীচে মেঘের 
যে জল,
তা ধরতে চাইছি আমি। 
চাওয়া পাওয়ার এই বিস্তর ফারাকে
তুমি প্রকৃতির পিছনে ছুটছো
আর আমি
প্রকৃতির কোলে ঘুমিয়ে আছি।
"প্রায়শ্চিত্ত "

গৌতম ঘোষ।


ভালো থেকো ভালো রেখো
করোনা কে, একসাথে রুখো
জীবন তরী বাইতে দিয়ো
ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ো।

এই তো দারুণ সময় এসেছে হাতে,
সকলকে কাছে টেনে নেও আপন করে,
আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, অতিথিবর্গ, 
যাদের রেখেছিলে দূরে বহু দূরে।

জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে ব্যাস্ত রেখেছিলে
অর্থ উপার্জন আর ভোগ বিলাসিতাতে,
কখনো কি ভেবেছো একবার তাদের,
যাদের ত্যাগ আর অবদানে, 
নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে,
সরিয়ে রেখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে,
বঞ্চিত করেছো তাদের সকলকে?

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একান্ত আপনে
একমুহূর্ত নিজের সাথে একান্তে কথা বলে?
এখনো কি হয়না অনুশোচনা তোমার অন্তরে?

এখনো সময় আছে, অন্তর থেকে
নাও আপন করে, সব কিছু দূরে সরিয়ে 
দূর করে সব বাঁধা, মান-অপমান ভুলে
পাশে এসে দাঁড়াও, মনের কালিমা ত্যাগে
আনন্দে উঠুক ভরে, তোমার নতূন জীবন।।

কবিতা

{আচ্ছাদন}
রাণু সরকার 
=======================
অগ্নিচূর্ণে" শ্বাস গ্রহণ করতে কষ্টসাধ্য 
প্রণয় গলিত হয়ে প্লাবনের স্রোতের ন্যায় নকশাদ্বারা চিত্রণ!
ক্ষুদ্র দ্বার অস্পষ্ট প্রত্যাহার যোগ্য-কিছু অলীক কামনা সঞ্চিত ছিলো বহুকালের- প্রবীণে এসে জাগরুক চূড়ান্তরূপে!
ইচ্ছেরা উন্মাদ ডানায় ভর দিয়ে চেষ্টা চালানো!
বার্ধক্যের আড়ালে বর্ণময় আচ্ছাদন-সূক্ষ্ম বুদ্ধির প্রবীণ!
লুক্কায়িত ছিলো রহস্যময় নির্দোষ সারল্যে কাহিনী বিবসন উষ্ণতায় স্বর্গ বাস||
নদীর বুকে
-শুভ জিত দত্ত
কত নৌকা ভিরতো সেথায়
দিন রাত সারাক্ষণে
মাঝির কন্ঠে গানের সুরে
মন মাতিয়ে রাখে
নানা গানে জমত আসর
নদী পাড়ের সময়
গ্রাম গঞ্জের আসতো খবর
সেই নদীর পাড়ে
জোয়ার ভাটার হতো কতো
দেখেছি সে কালে
কত শত ঘটনার সাক্ষী
তার বুকে ঘটেছে
আজ তাই অসহায়
হয়ে চেয়ে রয়
কবে তাই শেষ হবে
সেই নদীর চলা
মায়ের মতো কষ্ট
সেও করেছে শয্য
তবু আছে টিকে
এই বলি হারি

কল দিও সাবিহা
-পথিক _শহিদুল

ফিরে কল দিও সাবিহা....
রাত্রি গভীরে বেদনার রঙ নীল হয়ে অাসে ক্রমশ: শীতের কুয়াশার মত ঘন হয়ে অাসে চারিদিক
দুই চার ছয় মাসের অধিককাল 
তার অাগে তোমার গহব্বরে ফিরে যেতে পারব না।

রিং বাজে কষ্টের রিং অলিগলি রাস্তার ওপারে
কেমন করে ফিরে অাসি রুমে ডাইনিং এ
অবসরে ভাবতে ভাবতে অলস হয়ে
বালিশে একরত্রি ঘুম অত:পর জেগে দেখি রিং বাজে।

মধ্যদুপুরে খাওয়া হয়নি পুনর্বার পৃথিবী ডাকে
যেমন ডাকে অামার মা বোন ভাই
এমনকি বাবাও....
ক্ষুধার্ত পৃথিবী অামি গোগ্রাসে গিলে খেতে পারি জলবায়ু সমেত তোমাকেও...

দু,চোখ অবসন্ন বন্ধুর মত এই ওঠ বলছি
কাজে যেতে হবে এখনি অথচ ক,টা দিন রিং বাজে
ঘুমাতে পারিনা খেতে পারিনা কাজ কর্ম কিছুই না
তবু বলি বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনেকদিন হলো সাবিহা।

অানাকড়ি টাকা পয়সা হাতে নেই বিদেশ বিভুই
সে দিনের শৈশব কৈশর যুবক অামি
বয়সের নুলো বিড়ালের ভাঁজে ঢেকে গেছে
অামার চুল দাঁড়ি হাতের নখ।

বাড়ি ফিরে কল দিও
সজোড়ে চলছে গাড়ি একদম পেছনের সীটে এককোনে
মনে হচ্ছে ভিজে যাচ্ছি প্রচন্ড কুয়াশায় একাকী
দুরপাল্লার গাড়ি গর্তের ফাকে জীবনের চাকা উল্টে গেলে মৃত্যুর মত ভয়ংকর হবে এই রাত্রি সাবিহা।

মানুষ মরে অামিও মরে তোমার কাছে চলে যাবো
তবুও রিং বাজে সাবিহা ফের ফিরে যাবো বলে।

রাত্রি গভীরে বেদনার চেয়ে মৃত্যু কামনায় শ্রেয় সাবিহা।
সিংহ বিবাগী মন
-পথিক শহিদুল

দ্যেতনা বাজে মন সিংহের সেবা,
উঠোন চষিয়া বেড়ায় উড়ো চর যেবা।
ফাগুন চলিয়া গেছে সেই যে কবে
রঙের বাহারী অাল্পনায খুঁজি রসজন ভবে।

মৃত মুখ পরিহারে ভুবনজয়ী
দ্যেতনা বিলাসীর মন ঢেঁকি শালময়ী।

পিরিত শাঁকে কর্ণারে যে মন
সিংহ বোঝে না করি চর্বন।

যুগে যুগে মানবতা কাঁপে ঝড় তুফানে
সিংহ দ্যেতনা যোজন সাঁপে কাত ঝাপানে।

তবু খুঁজি বিরিক্ষী নাগপাশ সাঁপে
কত কি বেদনার কুলে চুল অাঁশে।

যরুপ কথন করি উনত্রিশ উঠোন
ভয়ের চরকে কাঁপে সিংহ বিবাগী মন।
২ মার্চ []২০২০
ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের ব্লগের জন্য লেখা পাঠান