Trilochan Shahito Vubon - ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন v
পুষ্পবিকাশ 
রাণু সরকার
=================== 
হৃদয়ের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত পুষ্পবিকাশ করতে পারো-বড্ড বিয়োগ ব্যথা!
হৃদয়ে পিঁজরা বন্দি পাখিটা আজ ওপার বাংলায়-পাঠিয়ে দিলাম পিঁজরা খুলে!
ঝরা ফুলের মালা-পাঠালাম পাখির ঠোঁটে!
সযত্নে রেখো-পদ্মার জলে পরিবর্জন করোনা!
ব্যাথার বাদ্যযন্ত্র টা আবার নবরূপে সেঁজে ও বেজে উঠল সুরেলাধ্বনিতে!
অরুন্ধতী প্রত্যাশায়!
বিজ্ঞান বনাম ভাইরাসে 

শিবশঙ্কর মণ্ডল

এ এক অদভুৎ পৃথিবী 
এখানে অজানা শব্দরা ভাসছে 
অচেনা বলয়ে দুরত্ব বাড়িয়ে ,
পরিচিতরা চেনা ছকের বাইরে 
নিজেদেরকে আত্মগোপনে হারিয়ে ।

এ পৃথিবীতে পরস্পরের হুংকার নেই 
শক্তি প্রদর্শনের গোলাগুলির আওয়াজ নেই 
একে অপরের দোষারোপের রাজনীতিও নেই ।

এ পৃথিবীতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে
দেশ জাতি সমাজ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের 
নিজ নিজ সভ্যতা অক্ষুণ্ণ রাখার একান্ত লড়াইয়ে 
ভবিষ্যতে ভাইরাস মুক্ত পৃথিবী পেতে।

এ পৃথিবীটা যেন ভাইরাসের অধিকারে
ছিনিয়ে নিতে চায় তিলে তিলে
মানুষের মৃত্যুর সারি নিশ্চিতে
ধ্বংস করতে চায় বিজ্ঞানের গর্বে।

এ পৃথিবীর ভাইরাস আতঙ্কের যুদ্ধে
সৈন্য গোলা বারুদ যুদ্ধ বিমান নেই 
সড়ক জল আকাশে হাঙ্গামা নেই 
রাসায়নিক অস্ত্র পরমাণু বোমা নেই
বিধাতা জোতির্বিজ্ঞানের আশীর্বাদ নেই।

শুধুই ডাক্তার সেবিকা ওষুধ প্রশাসন 
লড়াইয়ে বিজ্ঞান বনাম ভাইরাসে ।
কৃষ্ণচূড়ার নীচে
পারভীন শীলা 

কৃষ্ণচূড়ার নীচে দাঁড়িয়ে ভাবছি
আজ তুমি নেই
আছে স্মৃতিটুকু
যতটুকু দিয়েছিলে আমায়
গ্রহণ করেছি ততটুকু। 

কাক ডাকা সেই আবছা আলোয় ভোরে 
বকুলের গন্ধে আকুল
মনের দরজা খুলে 
শিশিরে ভেজা পায়ে
মেঠোপথ পেরিয়েছি কত
দু হাতের কঠিন আলিঙ্গনে।

ডোবা, পুকুরের জলে ভীজে
বালিয়াড়ি হাঁসের খোঁজে 
কখনো বিলের ধারে,
শাপলা শালুকের খোঁজে 
ডুব দিয়ে পানকৌড়ির মতো জলে,
আরো কতো বনের ভিতর
বেতের কাঁটার ঘায়ে,
কেটেছে পা ঝরেছে রক্ত,
তাও দৌড়েছি হাত ধরে
বউ কথা কও পাখিটির খোঁজে, 
আম গাছের মগ ডালে বসে
পাশাপাশি -
কাঁচা আমের স্বাদে
ঝুলিয়েছি পা
মনের আনন্দে। 

এ ভাবে 
   সকাল গড়িয়ে দুপুর, 
   দুপুর গড়িয়ে বিকেল,
   সারাদিনের ছুটোছুটি 
          খুনসুঁটি 
   সন্ধ্যেয় মায়ের বকুনি।

সবই পড়ে মনে
শুধু নেই তুমি
বিদায়ের বেলায় বলেছিলে
           বন্ধু
এবার হলো ছুটি
ভুলে যেও সব আমার দেয়া প্রীতি। 
সব ভুলে গেছি
পড়ে শুধু মনে
কৃষ্ণচূড়ার নীচে
তোমার আমার মন দেয়া নেয়ার
  সেই তিথি।
সংশয়
সুমিতা মুখোপাধ্যায়


বাতাসের মত আমি সহজ হয়েছি;
আলোর ভুবনে তাই হাওয়াপাখি হয়ে
ডানার বিস্তার থেকে সুরভি ছাড়াই।
অনুপ্রবেশে আমার কৃপণের মুঠি
খুলে গিয়ে, বেড়ে গেছে আলোর সঞ্চয়।

আমার পরশ পেয়ে যে - মুকুলগুলি
ধীরে ধীরে পূর্ণতায় প্রকাশিত হয়ে
আমাকে বিখ্যাত করে, শুধু জেনে রেখো -
তোমার রচিত কোন কুপ্রস্তাব মেনে
আমি আগুনের ভাষা
ফোটাব না কখনই। ক্রমপ্রসারিত
আলোর পরিধি থেকে ফুলের বিরুদ্ধে
কথা বলবার আগে আত্মউন্মোচনে
পাতার সংশয়টুকু বুঝে নিতে হয়।
পার্থক্য 
পারভীন শীলা 

আকাশে উড়ছে মেঘ 
ধরতে চাইছো তুমি,
আকাশের নীচে মেঘের 
যে জল,
তা ধরতে চাইছি আমি। 
চাওয়া পাওয়ার এই বিস্তর ফারাকে
তুমি প্রকৃতির পিছনে ছুটছো
আর আমি
প্রকৃতির কোলে ঘুমিয়ে আছি।
"প্রায়শ্চিত্ত "

গৌতম ঘোষ।


ভালো থেকো ভালো রেখো
করোনা কে, একসাথে রুখো
জীবন তরী বাইতে দিয়ো
ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ো।

এই তো দারুণ সময় এসেছে হাতে,
সকলকে কাছে টেনে নেও আপন করে,
আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, অতিথিবর্গ, 
যাদের রেখেছিলে দূরে বহু দূরে।

জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে ব্যাস্ত রেখেছিলে
অর্থ উপার্জন আর ভোগ বিলাসিতাতে,
কখনো কি ভেবেছো একবার তাদের,
যাদের ত্যাগ আর অবদানে, 
নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে,
সরিয়ে রেখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে,
বঞ্চিত করেছো তাদের সকলকে?

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একান্ত আপনে
একমুহূর্ত নিজের সাথে একান্তে কথা বলে?
এখনো কি হয়না অনুশোচনা তোমার অন্তরে?

এখনো সময় আছে, অন্তর থেকে
নাও আপন করে, সব কিছু দূরে সরিয়ে 
দূর করে সব বাঁধা, মান-অপমান ভুলে
পাশে এসে দাঁড়াও, মনের কালিমা ত্যাগে
আনন্দে উঠুক ভরে, তোমার নতূন জীবন।।

কবিতা

{আচ্ছাদন}
রাণু সরকার 
=======================
অগ্নিচূর্ণে" শ্বাস গ্রহণ করতে কষ্টসাধ্য 
প্রণয় গলিত হয়ে প্লাবনের স্রোতের ন্যায় নকশাদ্বারা চিত্রণ!
ক্ষুদ্র দ্বার অস্পষ্ট প্রত্যাহার যোগ্য-কিছু অলীক কামনা সঞ্চিত ছিলো বহুকালের- প্রবীণে এসে জাগরুক চূড়ান্তরূপে!
ইচ্ছেরা উন্মাদ ডানায় ভর দিয়ে চেষ্টা চালানো!
বার্ধক্যের আড়ালে বর্ণময় আচ্ছাদন-সূক্ষ্ম বুদ্ধির প্রবীণ!
লুক্কায়িত ছিলো রহস্যময় নির্দোষ সারল্যে কাহিনী বিবসন উষ্ণতায় স্বর্গ বাস||