ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন v


 ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবনের প্রথম সংখ্যার জন্য লেখা আহবান

প্রথম সংখ্যা PDF আকারে প্রকাশ করা হবে

trilochanshahitovubon.blogspot.com

গদ্য কবিতা শিক্ষক দিবস
কলমে বানীব্রত 


তুমি আমার পরম প্রিয় তুমি আমার গুরু
তুমি আমার ঞ্জানের আলো তোমাতেই আমার শুরু,
লেখা পড়া খেলাধুলা সব কিছুতেই তুমি
তোমার আশিষে দেখেছি আমি এই জন্মভুমি।

মা, তুমিই হলে আমার প্রথম শিক্ষা গুরু
জীবনের চলার পথ তোমার থেকেই শুরু,
ইস্কুলেতে গিয়ে আমি পেয়েছি শিক্ষক
তখন থেকে তারা দেখালেন জীবনের গতিপথ। 
শিক্ষকরা দিয়েছেন শিক্ষা, রেখেছেন আশিষের হাত
তাদের জন্য আলাদা কোন দিবসের নেই কো দরকার।।

শর্মিষ্ঠা মুখ্যার্জীর আবৃত্তি

চওড়া সিঁথি তাঁর
©অঞ্জলি দে নন্দী, মম

নন্দী ঠাম্মার গ্রামে বাড়ি।
পরনে লাল পার শাড়ি।
পতিব্রতা নারী।
খুব সুনাম তাঁরই।
জীবনে কোনোদিন
তোলেন নি সিঁথির সিঁদুর।
শ্যাম্পু করেন সাবধানে অতি।
কলির সতী।
নাম শ্রীমতি লীলাবতী।
উঁচু হয়ে চেপে ধরে আছে মাথাতে
চওড়া সিঁথির সিঁদুর।
দাদু মারা গেল একদিন
চিতা উঠলো দাউ দাউ দাউ করে জ্বলে।
তারপরে নিজ হাতে
সিঁদুর তোলেন - ঘষে ঘষে ঘষে...
শ্মশান ঘাটে বসে;
ভাসেন আঁখিজলে।
সিক্ত কণ্ঠে বলেন, কাঁপা কাঁপা স্বরে,
"জ্যোতিষী ঠাকুর বলেছিলেন, 
স্বর্গে যাবো মরে।
এওস্ত্রী পুরবো আমি,
সিঁথির সিঁদুর নিয়ে, সধবা - সুখে।
আমার মৃতা মুখে
আগুন দেবে আমার জীবিত স্বামী।
সবটাই মিছে।
ও তো গেল চলে।
পড়ে রইনু আমি পিছে।"

কবিতা

"পিঠে"

অঞ্জলি দে নন্দী, মম


ঐরাবৎ হাতীর পিঠে

বসে নন্দী ষাঁড়ের নাতী।

যাচ্ছে খেতে সে

হরেক রকম পিঠে।

নামলো এসে

নানীর ঘরের শেষে।

নানা ভালোবেসে

ওর পিঠে

হাত চাপড়ায়, আদোরে।

আর বলে,

যুগ যুগ যুগ তুম জিও!

তাই না দেখে নৃত্য করে

নানার যত পোষা বাঁদরে।

নানী বানায়

নাতীর প্রিয়

তালের মিঠে পিঠে

নিজ করে। ( হাতে )

আহা, সুখে ভরা ভাদোরে,

নানা, নানীর নাতী আদোর করা,

এতেই তো ধরা গড়া।

নানীর হৃদয় মহাসাগরসম।

নাতীর তরে স্নেহ তার ভরা 

কানায় কানায় কানায়।

নাতী থাকে নানার হার্ট বিটে।

ওদের সবার প্রিয় নাতীর মমও।

সোনা বন্ধু

রাণু সরকার

============  

শোন কোকিলা-

ওপারেতে-সোনা বন্ধু আছে একেলা, 


আমার কথা বলবি তাকে চিন্তা যেন না করে 

ভালো আছি-কিন্তু তার জন্য মনটা আমার আনচান করে!


এই নে--চিঠি-সাবধানেতে পৌছে দিস

যদি বন্ধু আমার ঘুমিয়ে থাকে-জাগিয়ে তবেই তার হাতে দিস,


চিঠি পড়ে সোনা বন্ধুর জল আসবে চোখের কোলে-

ঠোঁটে করে খানিকটা জল আনবি তুলে!


বন্ধু আমার যাবার বেলায়-সোহাগ চিহ্ন এঁকে দিতে গেছে ভুলে!

ঠোঁটের থেকে একটু লালা আনবি তুলে!


আমার হয়ে এক কলি গান শুনিয়ে দিস

এই-কোকিলা কাজটা যদি করে দিস 

আমার বাতাবি লেবুর গাছটি তুই নিয়ে নিস 


মেঘেদের বেড়েছে-খুব আনাগোনা

কখন বর্ষাকে যে পাঠিয়ে দেবে-ওদের কথা বলা যায় না ।


বর্ষা যদি আসে ধেয়ে 

পারবি কি তুই চিহ্ন গুলো আনতে বয়ে?

যতক্ষণ তুই না আসবি চিন্তা গুলো মাথায় আমার থাকবে ছেয়ে!